রাক্ষসি অন্ধকার যখন একটু একটু করে
গিলে খাচ্ছে আলো, আলোর আশপাশ
তখন অমানিশা রোধে গর্জে উঠেছ
বাঘিনীরূপে ঠেকাতে জাতির রাহুগ্রাস।
দেশমাতৃকার ধ্বংসক্ষণে জ্বলে উঠেছ
আগ্নেয়গিরি লাভার মতো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে
চেতনাদীপ্ত প্রাণে রক্ষা করতে জন্মভূমি
ভয়ঙ্কর দানব হটিয়ে।
তোমার বুলন্দ আওয়াজ শঙ্কিত হৃদপিন্ডে
জাগিয়েছে তীব্র শিহরণ
সোচ্চারিত কন্ঠে মৃত্যুর আকাঙ্খা
ভুলিয়ে করেছে বিপ্লবী জাগরণ।
” আমরা মরতে আসছি, আমরা মরেই যাবো
নয়তো আমরা মেরে যাবো
আমরা যদি একটা মেধা পড়ে,
আমরা দশটা কোটা গিলে খাবো
গিলে খাবো মানে গিলে খাবো ”
তোমার প্রলয় তোলা গর্জিত হুঙ্কার
রক্তচোষা শাসকের মসনদ ভেঙে
করে দিয়েছে চুরমার।
চেতনার আগুন, চোখের আগুন,
হৃদয় আগুন এক করে
সাহস নিয়ে বুকে করেছ লড়াই
অবলা নয় বাঘিনীর রূপ ধরে।
তোমার আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব
নতুন প্রজন্মের অন্তরে তুলেছে ঝড়
হিংস্রতার শিকড় উপড়িয়ে দিয়েছে
অপশক্তির কবর।
প্রতিবাদের বজ্রপাতে চূর্নবিচূর্ন
শাসকরূপী স্বৈরাচার এর দাম্ভিকতা
তেজদীপ্ত স্বরে বলেছিলে, পিছনে যাবার রাস্তা নেই
পিছনে পুলিশ সামনে স্বাধীনতা।
অগ্রগামী রক্ত লাশের স্রোতে ভেসে
মরণ খেলা শেষে
তোমার বজ্রকন্ঠের সূর ধরে এসেছে বিজয়
স্বাধীন বাংলাদেশে।
মাসুদ রানা লাল
সাধারণ সম্পাদক
কবিয়াল ফাউন্ডেশন