সাঁঝবাতির আলোয় আট বছরের
ছোট্ট বেনু ঢুলু ঢুলু নয়নে পড়ছিল নামতা,
উনুনের আঁচে মায়ের রুটি বানানোর
ধোঁয়া নাসিকায় এসে ভিড় করে,
দিদির সন্ধ্যা আরতি, শঙ্খের ধ্বনি,
রেড়িও তে জেঠিমা শুনছিল আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী,
ঘড়িতে রাত নটা বাজতেই বাবা দোকান থেকে আসেন বাড়ি,
বেনু মাকে বলে আজকের পড়া এখানেই ইতি করি!
ভোর পাঁচটায় পাখির কলতানে
বেনুর ঘুম ভাঙে প্রতিদিনের অভ্যস্ত রুটিনে,
তারপর তৈরী হয় বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্যে।
মাষ্টার মশাই ভীষন রাগি
হরিদাস মুখুজ্যে,
বানন লেখার একটা ভুলেই মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছাত্রদের
হাতে আঁকেন ভূগোলের ম্যাপ।
ক্লাসের ফাঁকে বেনুর আনমোনা অবয়ব চেয়ে থাকে বাহিরের প্রকৃতির দিকে,
মাষ্টার মশাই বেনুকে এক ধমকে বলে
এদিকে তাকাও লেখো দেখি রচনা একঝাঁক পায়রা,
ক্লাসের সবাই বানান ভুল করলেও
বেনু লেখে নির্ভুল,
হরিদাস মাষ্টার ডেকে বলে বেনুকে
একটা ক্লাস ও তো মন দিয়ে শোনোনা,
কি করে লিখলে তবে এতো সুন্দর নেই যার তুলনা!
বেনু বলে কাল রাতে স্বপ্নেতে এসেছিল ময়না, দোয়েল ফিঙে ,
একঝাঁক পায়রা,
তাই ভেবে শব্দ সাজিয়ে লিখি, হয়ে যায় রচনা,
মাষ্টারমশাই বলে পিঠ চাপড়ে তোমার কল্পনার হয়না যে তুলনা!