ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৃজনে শুক্লা দাস এর কবিতা || যন্ত্রণা

  • আপ : ০১:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৮৫ ভিউ :

 

মাগো আমার না খুব কষ্ট হচ্ছে
আমার যে দম বন্ধ হয়ে আসছে ।
কোথায় তুমি মা ? আমি তো চলে যাব
একটিবার কি তোমায় দেখার সুযোগ পাব?
ছত্রিশ ঘন্টা ডিউটি করে ভীষণ ক্লান্ত ছিলাম
বিশ্রামের জন্য তাই একটু ঘুমিয়ে পড়লাম ।
পিশাচেরা সেই সুযোগে আমাকে করলো নির্মম পাশবিক অত্যাচার
তাদের কামনার আগুনে আমি পুড়ে ছারখার।
কিছুতেই বাঁচাতে পারিনি নিজের সম্মান
সারা শরীরে হায়নাদের থাবা,যোণীপথ রক্তাক্ত
তাতেও ওরা হয়নি ক্ষান্ত,প্রচন্ড আঘাতে আমার কলারবোনটি ও ভেঙ্গে ,আমাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলল মা।
ও মা বলো না কি দোষ ছিল আমার ?আমি মেয়ে এটাই কি আমার একমাত্ৰ অপরাধ?
যারা মানুষের প্রাণ ফেরাতে করে জীবন পাত
তাদের কেন লাঞ্চিত হতে হবে এ কোন অপরাধ?
মা গো তোমার চোখের জল মুছে ফেলে জ্বালাও দুচোখে আগুন
প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ,ওদের শাস্তি দাও দ্বিগুন।
আমার মত আর যেন কোন নারী না হয় ধর্ষিতা
সন্তান হারা হয়ে কাঁদেনা যেন কোন মাতা পিতা।
মেয়ে মানেই ভোগের পণ্য নই বুঝিয়ে দাও

ওই রক্তচোষা ,হায়না , সারমেয়দের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও ঐ নরকের কীটদের
যৌন লালসার শিকার হলেই তো সমাজ তাকে ধর্ষিতা তকমা দেয়
এতে আমরা তো নিরুপায় ,দোষটা আমাদের কোথায় ?
মা গো আমি দেখতে চাই এমন এক সমাজ
যেখানে কোন মেয়ের গায়ে লাগেনা যেন আঁচ।
প্রতিবাদ করো মা ,শয়তানদের যেন সাজা হয়
আমাদের স্টেথোর যেন এভাবে অমর্যদা না হয় ।
এভাবে যেন তোমার মত কারো কোল খালি না হয়।
চোখের জলকে আগুন করে প্রতিবাদটা রেখো জারি
সঠিক বিচার পায় যেন আমার মত নিরপরাধ নারী।
আকাশ পাতাল এক করে দাও ঐ অপরাধীদেরকে খুঁজতে
তবেই আমি পারবো মা গো এই কষ্ট ভুলতে।
আমার এই দেহটি যখন চিতার আগুনে জ্বলবে
বিচার চাই ,শাস্তি চাই এটাই তোমার স্লোগান হবে।
সেই স্লোগান শুনতে পাবে সহস্র নারীর কন্ঠ
ওদের মাঝেই খুঁজে পাব আমার যন্ত্রণা শিথিল করার আনন্দ ।
ধর্ষণ মুক্ত সমাজ গড়ো মা ,এতেই আমার মুক্তি
সকল নারীর চোখেই দেখব এই সমাজের শুদ্ধি।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মা তুমি এই প্রতিজ্ঞা করো
বিচারের বানী নীরবে না কাঁদে প্রতিবাদের ধ্বজা ধরো।

সৃজনে শুক্লা দাস এর কবিতা || যন্ত্রণা

আপ : ০১:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

 

মাগো আমার না খুব কষ্ট হচ্ছে
আমার যে দম বন্ধ হয়ে আসছে ।
কোথায় তুমি মা ? আমি তো চলে যাব
একটিবার কি তোমায় দেখার সুযোগ পাব?
ছত্রিশ ঘন্টা ডিউটি করে ভীষণ ক্লান্ত ছিলাম
বিশ্রামের জন্য তাই একটু ঘুমিয়ে পড়লাম ।
পিশাচেরা সেই সুযোগে আমাকে করলো নির্মম পাশবিক অত্যাচার
তাদের কামনার আগুনে আমি পুড়ে ছারখার।
কিছুতেই বাঁচাতে পারিনি নিজের সম্মান
সারা শরীরে হায়নাদের থাবা,যোণীপথ রক্তাক্ত
তাতেও ওরা হয়নি ক্ষান্ত,প্রচন্ড আঘাতে আমার কলারবোনটি ও ভেঙ্গে ,আমাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলল মা।
ও মা বলো না কি দোষ ছিল আমার ?আমি মেয়ে এটাই কি আমার একমাত্ৰ অপরাধ?
যারা মানুষের প্রাণ ফেরাতে করে জীবন পাত
তাদের কেন লাঞ্চিত হতে হবে এ কোন অপরাধ?
মা গো তোমার চোখের জল মুছে ফেলে জ্বালাও দুচোখে আগুন
প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ,ওদের শাস্তি দাও দ্বিগুন।
আমার মত আর যেন কোন নারী না হয় ধর্ষিতা
সন্তান হারা হয়ে কাঁদেনা যেন কোন মাতা পিতা।
মেয়ে মানেই ভোগের পণ্য নই বুঝিয়ে দাও

ওই রক্তচোষা ,হায়না , সারমেয়দের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও ঐ নরকের কীটদের
যৌন লালসার শিকার হলেই তো সমাজ তাকে ধর্ষিতা তকমা দেয়
এতে আমরা তো নিরুপায় ,দোষটা আমাদের কোথায় ?
মা গো আমি দেখতে চাই এমন এক সমাজ
যেখানে কোন মেয়ের গায়ে লাগেনা যেন আঁচ।
প্রতিবাদ করো মা ,শয়তানদের যেন সাজা হয়
আমাদের স্টেথোর যেন এভাবে অমর্যদা না হয় ।
এভাবে যেন তোমার মত কারো কোল খালি না হয়।
চোখের জলকে আগুন করে প্রতিবাদটা রেখো জারি
সঠিক বিচার পায় যেন আমার মত নিরপরাধ নারী।
আকাশ পাতাল এক করে দাও ঐ অপরাধীদেরকে খুঁজতে
তবেই আমি পারবো মা গো এই কষ্ট ভুলতে।
আমার এই দেহটি যখন চিতার আগুনে জ্বলবে
বিচার চাই ,শাস্তি চাই এটাই তোমার স্লোগান হবে।
সেই স্লোগান শুনতে পাবে সহস্র নারীর কন্ঠ
ওদের মাঝেই খুঁজে পাব আমার যন্ত্রণা শিথিল করার আনন্দ ।
ধর্ষণ মুক্ত সমাজ গড়ো মা ,এতেই আমার মুক্তি
সকল নারীর চোখেই দেখব এই সমাজের শুদ্ধি।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মা তুমি এই প্রতিজ্ঞা করো
বিচারের বানী নীরবে না কাঁদে প্রতিবাদের ধ্বজা ধরো।