রঙ্গিন খামে লেখা সেই চিঠি
মনে পড়ে…
কত দিন খাটের কোনে
বিছানার নিচে লুকিয়ে রেখেছি
কেউ দেখে ফেলবে সেই ভয়ে ছিঁড়ে
টুকরো টুকরো করে ফেলেছি
আবার সেই টুকরোগুলো কে জোড়া
লাগিয়ে কতবার…. যে পড়েছি !
পড়তে পড়তে ধারাপাত এর মত
মুখস্থ করে ফেলেছি !
এখনো রঙিন খামে সেই চিরকূটের
প্রতিটি অক্ষর জমিয়ে
রেখেছি বুক পকেটে !
ত্রিশটি বছর ধরে অক্ষর গুলো বুকের
ভেতর তীব্র যন্ত্রণা দেয়
ভাবছি.. চিরকূটের সেই সোনালী
অক্ষর গুলোকে
বুক পকেট থেকে নামিয়ে কোথাও
লুকিয়ে রাখবো
তাইতো.. বিবাগী প্রহরে ঘর ছেড়ে
উড়ে যাওয়া পাখির ডানায়
লুকাতে গিয়েছিলাম
ভাবলাম.. বিপুলা ঐ আকাশে মাঝে
যদি ফেলে দিয়ে আসে
তাই চন্দ্রমল্লিকার বনে গিয়েছিলাম
লুকিয়ে রাখতে
আবার ভাবলাম….ফুল কুড়াতে
এসে যদি মালি ফুলের সাথে
কুড়িয়ে নিয়ে যায়!
লুকাতে গিয়েছিলাম বিরান মাঠের
শুষ্ক পোড়া জমিনের বুকের মধ্যে
ভাবলাম …আকাশ তখন যদি তার
বুক চিরে বৃষ্টির জল নামিয়ে দিয়ে
মাটির সাথে মিশে ফেলে!
কোথায় রাখবো… কোথায় রাখবো
গভীর হতাশা নিয়ে ভাবছি!
অনেক ভেবে চিন্তে দেখলাম
বিষন্ন কবির খাতায় লিখে রাখবো!
রঙিন খামে লেখা সোনালী চিরকূটের
সেই অক্ষরগুলো কে।