ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাজমা বেগম নাজু’র কবিতা || ডাঃ সজীব ঈশ্বর কেন নও

  • আপ : ০১:০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৪৫ ভিউ :

বল কি অপরাধ ছিল তার?
নতুন করে জীবন দিতে না পারার দায় কার?
যদি জানা থাকে উত্তর দাও অসীম বিধাতা তুমি।
উত্তর দাও কেন বিধাতার অসীম ক্ষমতা দিয়ে
পাঠানো হয়নি ডাক্তার নামের সীমিত মানুষটাকে।
জীবন দিতে অপারগ তাই রক্তধুলোয়
কিল চড় লাথি খেয়ে
অসহায় মাখামাখি,
নিষ্প্রাণ দেহে অচেতনে শুয়ে —
হতবাক ধুলোয়,
শত পদতল পিষ্ট করেছে তাকে
দুপায়ে মাড়িয়ে ঐ প্রিয়মুখ উন্মন্ত লাথ্থিতে
হাজারো আস্ফালনে, বিক্ষত করে নিথর করেছে।
শোনো তবে অপরাধ –
মানুষ বাঁচাতে সাধ্য সীমায় যত কিছু আছে
যা কিছু শক্তি মেধা আর জ্ঞান পুরোটা ঢেলেছে
জীবনের মাঝে লুকিয়ে থাকা পুরোটা জীবন দিয়ে,
থেমে যাওয়া হৃদপিন্ড,, সচল করার
মৌন মহান অবিরাম প্রয়াসে
মত্ত মগ্ন অনড় থেকেছে,
এই বুঝি দোষ তার?
ক্ষমার অযোগ্য -, কারণ স্রষ্টা সে নয়
বিধাতা ঈশ্বর কোনটাই নয়
মৃত্যুকে সে জীবন দেবে , জীবন দেবেনা মানে?
কষে চড় মার, মার লাথি, শত হাতে ধর কান
টেনে ছিঁড়ে ফেল।
অসহায় সেই চিকিৎসকের কান ফেটে স্রোত রক্তধারার। রক্তস্নাত দুচোখের চশমাটা
মেঝেতে লুটায়। কারন – সীমিত সাধ্যের
অতি সাধারণ -মানুষ নামের মানুষসেবী সে
তার নাম ডাক্তার। মৃত শরীরেও জীবন দেবে
পারবে না মানে? মার লাথি মার, আরো জোরে,
আরো জোরে আরো—।
ভীষণ ব্যস্ত একটা হাসপাতালে
কত জনস্রোত–
চেনা অচেনার ভীড়ে, একটা মানুষও ছিল না?
দুহাত বাড়িয়ে সামনে এলো না কেউ?
বলল না কেউ একটি বারও
এ ভাবে মেরোনা আর, দেখো রক্ত ধুলোয় লুটানো
এ দেহে -বুঝি প্রান নেই।এবারের মত ক্ষমা করো –
তবু পায়নি সে ক্ষমা, সুস্হ শরীরে বাঁচার অধিকার।
বল কিযে ছিল অপরাধ–
কারন সে নাকি ডাক্তার শুধুই, অসুখ সারাতে পারে
দেয়না জীবন। – মৃতকে নাকি দেয়না জীবন
এ কেমন অবিচার??
ডাঃ সজীবের প্রানপাখি —
বুঝি ঘর ছাড়ে, ছাড়ে পৃথিবীর মায়ানীড়
দীপ নিভু নিভু তার।
বেদম প্রহারে খুলি ভেঙে গেছে
জখম হয়েছে কান,শ্রেষ্ঠ মেধার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক।
ধুলোর পরে সে নিথর দেহ
যেন বিপর্যয়ের বন্ধু সে নয়, নয় কোন ডাক্তার
হতে পারে কোন খুনী লোভাতুর
নেশাকামী ধর্ষক,
ঘৃনিত পকেটমার, ছিনতাইকারী- বাটপার-
অথবা একাই একশ, শতরুপী চোর–।

শোনো ডাক্তার
এখন তোমার তলোয়ার হাতে,
পকেট ভর্তি গোলাবারুদের দূর্গ গড়ার বেলা।
সাদা এপ্রোন ছুঁড়ে ফেল এইবার
যুদ্ধের ঢালে রক্ষিত করো দেহ।
মুষ্টিযোদ্ধা -তুমি হতে পার জানি
তবে তাই হও, নিজেই না হয় গড়ে নাও হাতিয়ার-
রোগীর যতনে, সার্বিক শ্রদ্ধায়
অনড় অটল সীমাহীন চেষ্টায়
কেন এ জীবন খোয়াবে?
তুমি শুয়ে আছে অচেতন নিষ্প্রাণ,
রক্ত ধুলোয়.
যেন প্রানহীন কোন পোড়াকাঠ
মাটি, ইটের দেয়াল
ছু্ঁড়ে ফেলা কোনো শূন্য প্যাকেট-
মানুষ নামের হৃতপ্রান অমানুষ
সেটাই হয়ত বলে।

নাজমা বেগম নাজু’র কবিতা || ডাঃ সজীব ঈশ্বর কেন নও

আপ : ০১:০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বল কি অপরাধ ছিল তার?
নতুন করে জীবন দিতে না পারার দায় কার?
যদি জানা থাকে উত্তর দাও অসীম বিধাতা তুমি।
উত্তর দাও কেন বিধাতার অসীম ক্ষমতা দিয়ে
পাঠানো হয়নি ডাক্তার নামের সীমিত মানুষটাকে।
জীবন দিতে অপারগ তাই রক্তধুলোয়
কিল চড় লাথি খেয়ে
অসহায় মাখামাখি,
নিষ্প্রাণ দেহে অচেতনে শুয়ে —
হতবাক ধুলোয়,
শত পদতল পিষ্ট করেছে তাকে
দুপায়ে মাড়িয়ে ঐ প্রিয়মুখ উন্মন্ত লাথ্থিতে
হাজারো আস্ফালনে, বিক্ষত করে নিথর করেছে।
শোনো তবে অপরাধ –
মানুষ বাঁচাতে সাধ্য সীমায় যত কিছু আছে
যা কিছু শক্তি মেধা আর জ্ঞান পুরোটা ঢেলেছে
জীবনের মাঝে লুকিয়ে থাকা পুরোটা জীবন দিয়ে,
থেমে যাওয়া হৃদপিন্ড,, সচল করার
মৌন মহান অবিরাম প্রয়াসে
মত্ত মগ্ন অনড় থেকেছে,
এই বুঝি দোষ তার?
ক্ষমার অযোগ্য -, কারণ স্রষ্টা সে নয়
বিধাতা ঈশ্বর কোনটাই নয়
মৃত্যুকে সে জীবন দেবে , জীবন দেবেনা মানে?
কষে চড় মার, মার লাথি, শত হাতে ধর কান
টেনে ছিঁড়ে ফেল।
অসহায় সেই চিকিৎসকের কান ফেটে স্রোত রক্তধারার। রক্তস্নাত দুচোখের চশমাটা
মেঝেতে লুটায়। কারন – সীমিত সাধ্যের
অতি সাধারণ -মানুষ নামের মানুষসেবী সে
তার নাম ডাক্তার। মৃত শরীরেও জীবন দেবে
পারবে না মানে? মার লাথি মার, আরো জোরে,
আরো জোরে আরো—।
ভীষণ ব্যস্ত একটা হাসপাতালে
কত জনস্রোত–
চেনা অচেনার ভীড়ে, একটা মানুষও ছিল না?
দুহাত বাড়িয়ে সামনে এলো না কেউ?
বলল না কেউ একটি বারও
এ ভাবে মেরোনা আর, দেখো রক্ত ধুলোয় লুটানো
এ দেহে -বুঝি প্রান নেই।এবারের মত ক্ষমা করো –
তবু পায়নি সে ক্ষমা, সুস্হ শরীরে বাঁচার অধিকার।
বল কিযে ছিল অপরাধ–
কারন সে নাকি ডাক্তার শুধুই, অসুখ সারাতে পারে
দেয়না জীবন। – মৃতকে নাকি দেয়না জীবন
এ কেমন অবিচার??
ডাঃ সজীবের প্রানপাখি —
বুঝি ঘর ছাড়ে, ছাড়ে পৃথিবীর মায়ানীড়
দীপ নিভু নিভু তার।
বেদম প্রহারে খুলি ভেঙে গেছে
জখম হয়েছে কান,শ্রেষ্ঠ মেধার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক।
ধুলোর পরে সে নিথর দেহ
যেন বিপর্যয়ের বন্ধু সে নয়, নয় কোন ডাক্তার
হতে পারে কোন খুনী লোভাতুর
নেশাকামী ধর্ষক,
ঘৃনিত পকেটমার, ছিনতাইকারী- বাটপার-
অথবা একাই একশ, শতরুপী চোর–।

শোনো ডাক্তার
এখন তোমার তলোয়ার হাতে,
পকেট ভর্তি গোলাবারুদের দূর্গ গড়ার বেলা।
সাদা এপ্রোন ছুঁড়ে ফেল এইবার
যুদ্ধের ঢালে রক্ষিত করো দেহ।
মুষ্টিযোদ্ধা -তুমি হতে পার জানি
তবে তাই হও, নিজেই না হয় গড়ে নাও হাতিয়ার-
রোগীর যতনে, সার্বিক শ্রদ্ধায়
অনড় অটল সীমাহীন চেষ্টায়
কেন এ জীবন খোয়াবে?
তুমি শুয়ে আছে অচেতন নিষ্প্রাণ,
রক্ত ধুলোয়.
যেন প্রানহীন কোন পোড়াকাঠ
মাটি, ইটের দেয়াল
ছু্ঁড়ে ফেলা কোনো শূন্য প্যাকেট-
মানুষ নামের হৃতপ্রান অমানুষ
সেটাই হয়ত বলে।