জানো আজও, আজও ভেসে বেড়াই আমি
তিলোত্তমা শহরের আলো-আঁধারি গলিপথে,
স্নিগ্ধ অনুভূতি সজাগ হয় পূর্ণ গ্রহণ পার করে
আধ খাওয়া চাঁদের আলোয় খুঁজি তোমায় ছুঁতে।
রূপকথার গল্পের মতো শত আলোকবর্ষ দূরে
অস্তিত্বরা ক্রমাগত ম্রিয়মাণ হয় নিয়ন আলোয়,
অবরুদ্ধ মনে পাঁচিল তুলতে চাই খুব সন্তপর্ণে
বুঝি সৌন্দর্য্য হারায় ভয়ানক বীভৎস কালোয়।
সহসা জমাট মেঘ ঘনিয়ে আসে আকাশ জুড়ে
সিক্ত ঘাসের গালিচায় শুয়ে খুঁজি বিরহ কাব্য,
কালিদাসের ‘মেঘদূতম’ উঁকি মারে মন ঘিরে
চোখের জলের ধারায় সহস্র নদী হয় নাব্য।
আঁকি-বুকি আঁকা খাতায় ওলট-পালট শেষে
দেখি কোথাও হয়নি লেখা একটিও শব্দ,
হাস্নুহানার গন্ধ বাতাসের বুকে গিয়েছে মিশে
অবিরত বর্ষায় বস্তির চালাঘর হয়েছে জব্দ।
এখানে শ্রাবণ লেখে না প্রেম বিরহের কথা
নিদারুণ কাহিনী জেগে থাকে অতন্দ্র প্রহরায়,
কবির সুখ কল্পনা বিলীন হয়ে যায় নিভৃতে
কলম থমকে দাঁড়ায় বেদনাময় বাস্তবতায়।