ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোমা কোলে’র কবিতা || মেয়েটা

  • আপ : ০৩:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৫৬ ভিউ :

সমাজটা আজ ধুকছে, বিরল রোগে আক্রান্ত।
ভিতরে ভিতরে চলছে ভীষণ গভীর ষড়যন্ত্র।
আমরা নেহাতই সাধারণ মানুষ, তাই ধরতেও পারছি না এই চক্রান্ত।

লিখতে গিয়েও খাচ্ছে হোঁচট, কলমটাও বোধ করছে না সুস্থ।
বলছে এই ঘুনধরা ক্ষয়িস্নু সমাজের জ্বরে সেও নাকি অসুস্থ।

তাই হঠাৎ এসে,রেগে চোখ রাঙিয়ে প্রশ্ন করলো, জ্যান্ত দুর্গা পায় না বিচার।
মাটির দুর্গা,পঁচাশি হাজার, এ কেমন অবিচার?

ধর্ষকরা দিচ্ছে ডাক, মৃতা ধর্ষিতার দাম দশ লাখ?
ওরা জানে?? মেয়েটির চোখ থেকে বেরোয়নি জল, বেরিয়েছিল রক্ত।
আমি দেখেছি নিজের চোখে একটা ধুলিকণা পড়লে অস্বস্তিতে চোখ হয় লাল, বেরোয় অবিরত জল, সেখানে রক্ত??
ওরা ভুলে গেছে লক্ষ লক্ষ দুর্গা এখন দিনরাত পথে, এত দুর্গার সাথে লড়াটা অনেক শক্ত।

একটা মৃত্যু হলো, শহীদ হলো, কবে হবে তার বিচার।
বন্ধু মেয়ে, ধরলো হাত,আশ্চর্য নির্বিকার।

একটি মেয়ের লজ্জা লুটতে আরেক মেয়ে, ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে মদত করে।
এদেরকে প্রশাসন বলতে মানুষেরও লজ্জা করে।
লক্ষ লক্ষ মেয়ের ঘুম ভেঙেছে, এই একটা মৃত্যুতেই।
লক্ষ লক্ষ দুর্গা ত্রিশূল হাতে দাঁড়িয়ে আছে দিনরাত রাস্তাতেই।

সর্ষের মধ্যেই ভূত, ভারি অদ্ভুত।
এখনকার দিনে মানুষকে জানা আর চেনার মধ্যে ফারাক বিস্তর।
তাই দিনভর মিশলেও মানুষ চেনা দুষ্কর।

আমি নিজেই নিজের চেপে দেখেছি নাক কয়েক সেকেন্ড, নিতে পারিনি নিঃশ্বাস, বন্ধ হয়ে এসেছে শ্বাস।

জানিনা ঐ মেয়েটি ঠিক কতক্ষণ পেরেছিল, করেছিল নিজের বন্ধুদের বিশ্বাস।

আমি রোজ ঈশ্বরের কাছে প্রর্থনা করি, যেন এর থেকেও নৃশংস ভাবে পাওয়া যায় ঐ পশুদের লাশ।

ঠিক যেমনভাবে ভেঙেছে নোখ, খুবলেছে চোখ, ভেঙেছে হাড়, ঈশ্বরের কাছে একটাই চাওয়া, এত মানুষের চোখের জলে লাগুক ওদের অভিশাপ।

সোমা কোলে’র কবিতা || মেয়েটা

আপ : ০৩:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

সমাজটা আজ ধুকছে, বিরল রোগে আক্রান্ত।
ভিতরে ভিতরে চলছে ভীষণ গভীর ষড়যন্ত্র।
আমরা নেহাতই সাধারণ মানুষ, তাই ধরতেও পারছি না এই চক্রান্ত।

লিখতে গিয়েও খাচ্ছে হোঁচট, কলমটাও বোধ করছে না সুস্থ।
বলছে এই ঘুনধরা ক্ষয়িস্নু সমাজের জ্বরে সেও নাকি অসুস্থ।

তাই হঠাৎ এসে,রেগে চোখ রাঙিয়ে প্রশ্ন করলো, জ্যান্ত দুর্গা পায় না বিচার।
মাটির দুর্গা,পঁচাশি হাজার, এ কেমন অবিচার?

ধর্ষকরা দিচ্ছে ডাক, মৃতা ধর্ষিতার দাম দশ লাখ?
ওরা জানে?? মেয়েটির চোখ থেকে বেরোয়নি জল, বেরিয়েছিল রক্ত।
আমি দেখেছি নিজের চোখে একটা ধুলিকণা পড়লে অস্বস্তিতে চোখ হয় লাল, বেরোয় অবিরত জল, সেখানে রক্ত??
ওরা ভুলে গেছে লক্ষ লক্ষ দুর্গা এখন দিনরাত পথে, এত দুর্গার সাথে লড়াটা অনেক শক্ত।

একটা মৃত্যু হলো, শহীদ হলো, কবে হবে তার বিচার।
বন্ধু মেয়ে, ধরলো হাত,আশ্চর্য নির্বিকার।

একটি মেয়ের লজ্জা লুটতে আরেক মেয়ে, ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে মদত করে।
এদেরকে প্রশাসন বলতে মানুষেরও লজ্জা করে।
লক্ষ লক্ষ মেয়ের ঘুম ভেঙেছে, এই একটা মৃত্যুতেই।
লক্ষ লক্ষ দুর্গা ত্রিশূল হাতে দাঁড়িয়ে আছে দিনরাত রাস্তাতেই।

সর্ষের মধ্যেই ভূত, ভারি অদ্ভুত।
এখনকার দিনে মানুষকে জানা আর চেনার মধ্যে ফারাক বিস্তর।
তাই দিনভর মিশলেও মানুষ চেনা দুষ্কর।

আমি নিজেই নিজের চেপে দেখেছি নাক কয়েক সেকেন্ড, নিতে পারিনি নিঃশ্বাস, বন্ধ হয়ে এসেছে শ্বাস।

জানিনা ঐ মেয়েটি ঠিক কতক্ষণ পেরেছিল, করেছিল নিজের বন্ধুদের বিশ্বাস।

আমি রোজ ঈশ্বরের কাছে প্রর্থনা করি, যেন এর থেকেও নৃশংস ভাবে পাওয়া যায় ঐ পশুদের লাশ।

ঠিক যেমনভাবে ভেঙেছে নোখ, খুবলেছে চোখ, ভেঙেছে হাড়, ঈশ্বরের কাছে একটাই চাওয়া, এত মানুষের চোখের জলে লাগুক ওদের অভিশাপ।