ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফারজানা ইসলামের ‘বাংলা কবিতার নতুনধারা’ গ্রন্থ থেকে

  • আপ : ০৩:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৩৭৯ ভিউ :

ফারজানা ইসলামের ‘বাংলা কবিতার নতুনধারা’ গ্রন্থ থেকে

কবি হেলাল হাফিজ ও রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বর্ণনাধর্মী কবি ছিলেন। তাঁরা দু’জনই বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি। কিন্তু তাঁদের শিল্পোত্তীর্ণ বলা যাবে না।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ,নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ,সুভাষ মুখোপাধ্যায় এ ধারাই কবি ছিলেন। তাঁরাও তাঁদের সময়কে জয় করতে পেরেছেন।
কবিতা তিন প্রকার।
১.বর্ণনাধর্মী কবিতা ,২.সংকেতধর্মী কবিতা এবং ৩. বিজ্ঞান কবিতা।
কবিতা বক্তৃতা বিবৃতি নয় বলে বর্ণনাধর্মী কবিতা শিল্পোত্তীর্ণ নয়। তবে সংকেতধর্মী কবিতাকে শিল্পোত্তীর্ণ কবিতা বলা হয়।
বিজ্ঞান কবিতা তাকে বলে, যে কবিতায় বিজ্ঞানের উপমা,উৎপ্রেক্ষা ও চিত্রকল্প থাকবে। বিজ্ঞান কবিতা বর্ণনাধর্মী এবং সংকেতধর্মী দু’ভাবেই হতে পারে।
বিজ্ঞান থাকার ফলে এ দু’টো ধরণের কবিতাই জনকল্যাণমুখী কবিতা।
বিজ্ঞান কবিতার প্রবর্তক মহাত্মা হাসনাইন সাজ্জাদী লিখেছেন ;- ‘জনকল্যাণে লেখা কবিতাই আসল কবিতা। মানুষের আবেগধর্মী বাণী এবং শিল্পের রসদ আস্বাদন করা যায় এমন কবিতায়।’ তিনি আরো বলেন; ‘লিও তলস্তয়ের নিকট থেকে আমরা এ ব্যাপারে সঠিকটা নিতে পারি। তিনি বলেছেন মানুষের আবেগই শিল্প।’

ফারজানা ইসলামের ‘বাংলা কবিতার নতুনধারা’ গ্রন্থ থেকে

আপ : ০৩:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ফারজানা ইসলামের ‘বাংলা কবিতার নতুনধারা’ গ্রন্থ থেকে

কবি হেলাল হাফিজ ও রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বর্ণনাধর্মী কবি ছিলেন। তাঁরা দু’জনই বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি। কিন্তু তাঁদের শিল্পোত্তীর্ণ বলা যাবে না।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ,নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ,সুভাষ মুখোপাধ্যায় এ ধারাই কবি ছিলেন। তাঁরাও তাঁদের সময়কে জয় করতে পেরেছেন।
কবিতা তিন প্রকার।
১.বর্ণনাধর্মী কবিতা ,২.সংকেতধর্মী কবিতা এবং ৩. বিজ্ঞান কবিতা।
কবিতা বক্তৃতা বিবৃতি নয় বলে বর্ণনাধর্মী কবিতা শিল্পোত্তীর্ণ নয়। তবে সংকেতধর্মী কবিতাকে শিল্পোত্তীর্ণ কবিতা বলা হয়।
বিজ্ঞান কবিতা তাকে বলে, যে কবিতায় বিজ্ঞানের উপমা,উৎপ্রেক্ষা ও চিত্রকল্প থাকবে। বিজ্ঞান কবিতা বর্ণনাধর্মী এবং সংকেতধর্মী দু’ভাবেই হতে পারে।
বিজ্ঞান থাকার ফলে এ দু’টো ধরণের কবিতাই জনকল্যাণমুখী কবিতা।
বিজ্ঞান কবিতার প্রবর্তক মহাত্মা হাসনাইন সাজ্জাদী লিখেছেন ;- ‘জনকল্যাণে লেখা কবিতাই আসল কবিতা। মানুষের আবেগধর্মী বাণী এবং শিল্পের রসদ আস্বাদন করা যায় এমন কবিতায়।’ তিনি আরো বলেন; ‘লিও তলস্তয়ের নিকট থেকে আমরা এ ব্যাপারে সঠিকটা নিতে পারি। তিনি বলেছেন মানুষের আবেগই শিল্প।’