হেমন্ত এসে অভিমান করে ফিরেও গেল বোধহয়। তা না হলে কাশবনের রঙ এত ফিকে হল কোন মেঘের দেশে!
আমি যে বিপ্লবের লাল গ্রাফিতি আঙিনায় আহত প্রান নিয়ে ছটফটের বিছানায় জীবন বিমূখ, তা ফিরেও দেখল না অভিমানী পদ্মার পাড়।
নদী তার পাড় ভাঙল, কাশবন উজাড় করল অথবা হতে পারে কাশবনই আত্মাহুতি দিল অকাল বন্যায় তার শুভ্রতা লুকাতে।
এত রক্ত, এত সংগ্রাম, এত মৃত্যু, কত লাশ ভেসে গেল নদীর জলে। নদীর সে বোবা কান্না হেমন্তের বাতাস ভারী করে কাশফুল উড়িয়েছে আকাশে।
শিশির ভেজা বাতায়নের শার্শিতে আটকে পড়া সে ফুলের মিহি পাপড়ি অশ্রুশিক্ত চোখ হয়ে বলেছে সে আর হেমন্তে বাস করতে চায় না।
০৭ নভেম্বর, ২০২৪।