এবার কয়লার চোখে ঝরুক কান্না, মরুতে বয়ে যাক অকাল বন্যার জল। খড়িমাটিতে আঁটা “ইকরা” প্রথম শব্দ বাংলা বর্ণের সাথে “ন ব ব র র ষ” মা হয়ে কোলে করুক ধ্বংসযজ্ঞের পৃথিবী, বৈশাখের রুদ্র ভয়ংকর ঝড় ভাঙ্গুক নোংড়া জল্লাদ শাসকের কালো হাত।
বৈশাখের পোড়া মাটির বাসন-কোসন, মটর মালার দানা ছুটুক আলআকসার ঊর্ধ্বাকাশে, বাঘ-ভাল্লুক, হাতি-ঘোড়ারা তেপান্তর ছাড়িয়ে যোদ্ধার হাতে তুলে ধরুক মানবতা রক্ষার ঝান্ডা। রকেট- এরোপ্লেন, ড্রোন তীব্র শব্দে উড়ুক মৃত্যুপুরী আকাশে অনাহারী নারী-পুরুষ শিশুর সাহারা হতে।
এবার মঙ্গলযাত্রার গ্রাফিতি, মুখোশ, পাপেটের অবয়ব পাক আপন জীবন। তারা নিজেরাই কথা বলুক, হাঁটুক, শান্তির সংগীত গাইতে গাইতে দৌড়ে চলুক। প্রতিবাদের জন্য স্লোগানের যে ভাষা শেখা হল, গগনবিদারী সেই স্লোগান ভয়ংকর কাল বৈশাখী ঝড় হয়ে তছনছ করুক ষড়যন্ত্রের শুভ্র প্রাসাদ।
এবার “এসো হে বৈশাখ এসো এসো” নয়, সহস্র তারার কন্ঠে গাওয়া হোক-
“বুকে লাগ বৈশাখ বুকে বুকে
শত শহীদের রক্তের লালে
মা হারা শিশুর কান্নার রোলে
পৃথিবীর নোংড়া জঞ্জাল
প্রেম হয়ে যাক যাক যাক।।”
স্বাধীনতা পাগল বাঙালির বাংলার হে কাল বোশেখী ঝড়, এই বাংলা নববর্ষে কোটি কোটি উম্মাহ্র তীব্র হাহুতাসকে সঙ্গে করে আরও প্রচন্ড আঘাতে ধ্বংস করো বিশ্বের নরপশুদের , ফিরিয়ে দাও আগামী এক অখন্ড শান্তির পৃথিবী।