চৌকাঠ পেরোতে যেতেই
দরজার উপরের খিলান
কব্জা বিচ্ছিন্ন হয়ে- মাথায়
পড়ার উপক্রম————
ভাবলাম- কারিগরের অব্যবস্থাপনা।
চারতলা সিঁড়ি ভেঙে
একতলায় দাঁড়ালাম-
রাস্তায় পা রাখতে যেতেই
হোঁচট খেয়ে জুতোর সুকতলা
হয়ে গেল আলগা———
কি আর করা—
আসলে এমন হওয়ার ছিল,
নয়তো এমন নড়বড়ে জুতো নিয়ে
বেরুলাম কেন!?
সবটা মেনে নিয়ে
পথ চলা শুরু করতেই
খেলাম পিছল———–
উ হুঁ- কলার খোসাতে নয়
বোধগম্যির পিছল,
পেছন ফিরে দেখলাম-
শরীর উদোম করে
শার্টে ঢাকা একখান মুখোশী মুখ;
চেনা চেনা আবার অচেনা
ভেংচি কেটে বলল-
” এখনও তো মায়ায় জড়িয়ে আছিস,
কায়ায় যদি আগুন লাগে
সেই আগুন নেভাতে জ্বলিস তুই-
তাও মায়া পোড়াচ্ছিস না!
তোর মতো মানুষগুলো- হয়
ভাগ্যের হাতে বন্দী থাকিস
নয় মায়ার বাঁধনে আবদ্ধ থাকিস ;
সবি বুঝিস- হাঁসফাঁস করিস,
আর আমরা যারা- উদোম মুখোশী
তারা- তোদের নিয়ে মজা লুটি ” ।