হাড়ভাঙা খাটুনির চাপে পথ চলতে
হাঁপিয়ে গিয়েও এগিয়ে চলে ওরা,
রোদের প্রখর তেজে
বৃষ্টিতে স্নাত হয়ে
ওরা কাজ করে,

কখনো বাবুমশাইয়ের কুলি হয়ে ভার বহে চলে,
কখনোবা কোদাল দিয়ে মাটি কোপায়,
বিন্দু বিন্দু ঘামের বিনিময়ে অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে অট্টালিকা,
নিজের বাড়িতে লন্ঠন জ্বালিয়ে অন্যের বাড়িতে জ্বালায় ঝাড়বাতি,

চাষের জমিতে ফসল ফলায়
নিশিভোরে যায় মাঠে,
সভ্যতার উষালগ্ন থেকে দুমুঠো অন্নসংস্হানের তাগিদে ওরা অন্যের আহার সরবরাহ করে,

ওরা নিজের প্রানের ঝুঁকি নিয়ে
ঝড় – ঝঞ্ঝা, প্লাবনকে উপেক্ষা করে সরাদিন অহোরাত্র পরিশ্রম করে, শহরের ব্যস্ত রাস্তায় চোখ রাখলে দেখা যায়,
মানুষের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট খাবার কুড়িয়ে খেয়ে মেটায় ক্ষুধার জ্বালা,
মুখ বুঝে সব সহ্য করে,
হাসিমুখে সভ্যতার ঠেলাগাড়ি বয়ে নিয়ে চলে…

ঘরেতে গৃহবধূরা যেমন কাজ করে,
কখনো রাঁধুনি ,সেবিকা, কখনো স্নেহময়ী মা কখনো শিক্ষিকা, বাড়িতে আসা অতিথিদের দেখভাল করা সহকারি কর্মী,

কখনো গৃহকর্তার পার্সোনাল সেক্রেটারি হয়ে ওরাও বিনা পারিশ্রমিকে, বিনা ছুটিতে শীত -গ্রীষ্ম -বর্ষা দিবারাত্র শ্রম ডিপোজিট করে চলে,
শ্রমিকের মতো সারাজীবন খেটে
তারাও পায় না সঠিক দাম,
শুধুই দিনান্তে অশ্রু জলেই অধিকাংশই মুক্তি পায়
সুপ্ত অভিমান….

নাম – শ্রীতমা দাস
ঠিকানা – কে. বি. এম
পোষ্ট – চাকদহ
জেলা নদীয়া