হে মহাপ্রাণ,তুমি এসেছিলে সেদিন
মকর সংক্রান্তির এক পুন্য লগনে,
পৌষ কৃষ্ণা সপ্তমী তিথিতে সোমবার
উঠিতেছে রবি তখন পূর্ব গগনে।
ছ’টা উনপঞ্চাশ মিনিট ঘড়িতে
তুমি এলে শিমুলিয়ার বাড়িতে।
পুত্রসন্তান কামনায় জননী তোমার
ব্রতী হলেন শিবের উপাসনায়,
ঠিক বছর করিয়া পার
তুমি জন্ম নিলে এই ধরায়।
তুমি নাম নিলে বীরেশ্বর
ছেলেবেলার ডানপিটে ‘বিলে’,
তুমি দুরন্ত ,তুমি অশান্ত
সদাই ভয়শূন্য তুমি ছিলে।
শিবের অংশ তুমি
তুমি ভোলানাথ
কত নামে ডাকি তোমায়
তুমি নরেন্দ্রনাথ।
যুক্তি,তর্ক আর দর্শন
শেষে পাইলে ঠাকুর দর্শন।
সন্যাস গ্রহণকালে তুমি
নাম নিলে বিবিদিশানন্দ,
সে নাম ভুলিয়া সবে
ডাকে তোমায়,’বিবেকানন্দ’।
তোমার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বক্তৃতায়
আমেরিকার শিকাগো শহরে,
ভারতবর্ষ বলিয়া আছে এক দেশ
তুমি চেনালে বিশ্বের ঘরে।
তুমি বিশ্ব বন্দিত
তুমি বিশ্ব পূজিত।
তোমার সৃষ্টির মাঝে তুমি
জীবিত রবে চিরদিন,
শোধিতে পারিবেনা কোনোদিন
তোমার সেই ঋণ।
” I shall not see forty”
একথা তুমি বলেছিলে,
সত্যি স্বামীজী তুমি
তোমার কথা রেখেছিলে।
বিশ্বের মাঝে তুমিই একজন
স্বামীজী তোমার নাম,
হে বীর, হে মহাপ্রাণ
তুমি লহ প্রণাম,লহ প্রণাম।