খুব ভোরে মৃদু উঁকি দেয়
কৃষ্ণচূড়া রোদ হৃদয়ের বারান্দায়
স্বপ্ন বুনে যায় মনের কুঠড়িতে
দূর্বা ঘাসের সবুজ আভা।
ঠোঁটের গহীনে লেগে থাকে কখনো
একগুচ্ছ সুনির্মল হাসি
কুড়ি ফোটা ফুলের মতো
আগামীর শত স্বপ্ন নিয়ে।
আশায় বেঁচে থাকে সর্বদা
জীবনের লড়াকু কোষ
তবু নিঃস্ব হয়ে কেউ সুর তোলে
জং ধরা তানপুরায়
কেউ রিক্ত হয় সুরে
কেউ সিক্ত হয় সুরে।
কেউবা দুঃখ খসিয়ে আনতে চায়
আজন্মের কাঙ্ক্ষিত সুখ
চোট খায় বাস্তবের দেয়ালে
ভাঙ্গা মনে জাগে গোত্রহীন প্রশ্ন।
নরম কার্পাসের নিচের ওম দ্বন্দ্ব করে
জীর্ণ ছেড়া বস্ত্রের সাথে – কনকনে শীতের রাতে
ভাগ্যের কপালে দেখা দেয়
চিন্তার বলি রেখা- মরা গাঙের মতো।
দীর্ঘ নিশ্বাসে কেবলই বাড়ে
আক্ষেপের কালবৈশাখী ঝড়
উড়ায় কেবল বেদনার ধূলিকণা
আমি আশায় বুক বাঁধা এক পথের পথিক।
একটি প্রশান্তির স্বপ্ন ছোঁব বলে
ছুটে চলি অবিরত ক্লান্তিহীন
আশার আলো বুকে নিয়ে
গ্রীষ্ম থেকে শীত প্রতিদিন।