মেয়েটি একটি চাঁদিয়াল ঘুড়ির পেছনে
দৌড়তে দৌড়তে আশি কোটি জন্ম
পেরিয়ে এসেছে,
কিংবা অনেক ছায়াপথ ঘুরে
পক্ষীরাজ ঘোড়ার মতো
তেপান্তর পেরুনো সেই মেয়েটির
সামনে এখন অসীম শূন্যতা।
কাশফুলের আলাপ কিংবা
শিউলি শিশিরের অনুরাগে
আজকাল আর শারদীয় ক্যানভাস
মনেই পড়ে না ওর।
সোনালী ধানী জমিতে
কাঁচপোকা টিপের খোঁজ ও রাখে না এখন।
ওর চোখে ভাসে শুধু
উৎখাতের কৃপাণ,
অসুরের বিভৎস জেহাদ।
সন্ধিপুজো কলাবউ স্নান,
তাঁতের শাড়ি পঞ্চপ্রদীপ,
এসব আজ বড়ই ফিকে।
ওর লগ্নভ্রষ্টা চোখে শুধুই খাঁ খাঁ মরুদ্বীপ।
সন্ধার একাকী অবসরে
ও রোজ দেখে নক্ষত্রের আত্মহনন।