ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাসলিমা আক্তার পারভীন এর কবিতা || আমার অবুঝ খোকা

  • আপ : ০৭:২২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • ২৩৫ ভিউ :

বিধবার আশার আলো ছোট খোকা এই বুঝি বড় হয়ে উঠল বলে।
ছেলেটা আমার কেমনে কেমনে যেন চোখের পলকে বড় হয়ে গেল।
কত পান্তা আর মরিচ ভাজা দিয়া কোন রকমে দিন পার করে কেটেছে শৈশব ।
ছেলেটার তেমন কোন চাহিদা পূরন করতে পারিনি, যদিও বড় বড় পাশ দিছে এবার বাড়ি আশার পর বলছে,
মা আর কয়টা দিন একটা চাকরী হলে নিয়ে যাবো তোমাকে।
আমার কাছে ছোট একটা বাসা নিয়া তোমাকে রানীর মতন রাখব।
আমিও দিন গুনি এই বুঝি আমার ছোট্ট খোকন সোনা এই বুঝি মা মা ডেকে চলে আসবে আমার কাছে।
আমি ছেলের জন্য একটা লাল টুক টুকে বউ আনবো! সবাই কে ডেকে বলবো দেখ আমার ভাঙ্গাঘরে দেখ চাঁদ এসে পরেছে।
সবাই চোখ ভরে দেখবে আমার খোকার বউটাকে ভাবতে ভালো লাগে।
আমার খোকা কখনো ওর কষ্টগুলি বুঝতে দেয়না আমিতো মা।
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরি।
সকাল বেলা চারদিকটা কেমন যেন অচেনা লাগছে কত লোকজন আমার বাড়ির আঙ্গিনায় মাঝে একটা কফিন বসিয়ে দিল।
তাকিয়ে দেখি আমার খোকা শুয়ে আছে,
দেহটা রক্তে রাঙানো।
আমি খোকাকে ডাকলাম উঠো খোকা এখনো তো ঘুমানোর সময় হয়নি কিন্তু শুনলোনা,
আমার খোকা তো আমার অবাধ্য সন্তান না তাহলে কেন আজ কথা শুনেনি!
আমার খোকন তো দেশের জন্য কিছু করার কথা ছিল আমার জন্য কত কিছু করার কথা ছিল আমার খোকার কি দোষ ছিল কে দিবে এর উওর??

তাসলিমা আক্তার পারভীন এর কবিতা || আমার অবুঝ খোকা

আপ : ০৭:২২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

বিধবার আশার আলো ছোট খোকা এই বুঝি বড় হয়ে উঠল বলে।
ছেলেটা আমার কেমনে কেমনে যেন চোখের পলকে বড় হয়ে গেল।
কত পান্তা আর মরিচ ভাজা দিয়া কোন রকমে দিন পার করে কেটেছে শৈশব ।
ছেলেটার তেমন কোন চাহিদা পূরন করতে পারিনি, যদিও বড় বড় পাশ দিছে এবার বাড়ি আশার পর বলছে,
মা আর কয়টা দিন একটা চাকরী হলে নিয়ে যাবো তোমাকে।
আমার কাছে ছোট একটা বাসা নিয়া তোমাকে রানীর মতন রাখব।
আমিও দিন গুনি এই বুঝি আমার ছোট্ট খোকন সোনা এই বুঝি মা মা ডেকে চলে আসবে আমার কাছে।
আমি ছেলের জন্য একটা লাল টুক টুকে বউ আনবো! সবাই কে ডেকে বলবো দেখ আমার ভাঙ্গাঘরে দেখ চাঁদ এসে পরেছে।
সবাই চোখ ভরে দেখবে আমার খোকার বউটাকে ভাবতে ভালো লাগে।
আমার খোকা কখনো ওর কষ্টগুলি বুঝতে দেয়না আমিতো মা।
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরি।
সকাল বেলা চারদিকটা কেমন যেন অচেনা লাগছে কত লোকজন আমার বাড়ির আঙ্গিনায় মাঝে একটা কফিন বসিয়ে দিল।
তাকিয়ে দেখি আমার খোকা শুয়ে আছে,
দেহটা রক্তে রাঙানো।
আমি খোকাকে ডাকলাম উঠো খোকা এখনো তো ঘুমানোর সময় হয়নি কিন্তু শুনলোনা,
আমার খোকা তো আমার অবাধ্য সন্তান না তাহলে কেন আজ কথা শুনেনি!
আমার খোকন তো দেশের জন্য কিছু করার কথা ছিল আমার জন্য কত কিছু করার কথা ছিল আমার খোকার কি দোষ ছিল কে দিবে এর উওর??