আমার যেমন বর্ষা নিঝুম সন্ধ্যা সাঁঝে,
ফুল বাহারি বাসন্তিকায়-
জানতে ইচ্ছে করে,
তেমন করে তোর মনে কি
বুকের ভেতর উথাল-পাথাল
শ্রাবণী ঢেউ জাগে?
বল তো দেখি
ঘোর লাগা সেই দুপুর রোদে
পড়শি ঘরের দুচোখ জুড়ে
আলসে নামে ঘুম,
যখন আকাশ জোড়া
একলা আকাশ-,
ঘরের ছায়ায় দাঁড়িয়ে একা
জংলা পাড়ের ঘুঘুর সাথে
নাম ধরে কে বলত ডেকে
খেলতে যাবি আয়।
আজো তেমন রোদের দুপুর-
দুপুর শেষের একা রোদে
জানালা পাশে দাঁড়িয়ে যখন
দীর্ঘশ্বাসের —
আকাশটাকে দেখিস
একটুও কি মনে পড়ে?
কে শোনাত
বরই ফলের সবুজ জুড়ে
আলতো ছোঁয়ার
হলুদ সুরের গান?
আনমনা রোদ জলার ধারে
অভিমানী একা সুরে
আজো কি গায়
খামখেয়ালি গান?
মনভোলা সেই বাতাসটাকে
হৃদয় নীড়ে রাখবি বলেছিলি।
অনেক বেশি
জানতে ইচ্ছে করে-
এখনো কি রোদের পালক
তোর হৃদয়ের অতল ঘরে
তেমনি ছবি আঁকে?
দীর্ঘশ্বাসের বাতাসটা কি
ঘোর দক্ষিণায় –
জংলা পাড়ের
জলার ছবি আঁকে?