ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রহিমা আক্তার রীমা’র কবিতা || অনাথের আত্ম-চিৎকার

  • আপ : ১২:১০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৪৬ ভিউ :

 

শুনেছি ওই নর্দমায়,ড্রেনের ধারে কোন হৃদয়বানের কুড়িয়ে পাওয়া পরিচয়হীন শিশু আমি।
আমার জন্ম তারিখতো দূরে থাক,কে পিতা,কে মাতা-
জানা নেই, হয়তো কোনদিন জানাও হবে না?

বড়ই স্বাদ জাগে মনে,আমি কারো প্রেমিক হতে চাই,
পারি না, কারণ আমার যে জন্ম পরিচয় নেই!!
ইচ্ছে করে কারও সন্তান হই,মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে-
জন্মদিনে বলবে শুভ কামনা জন্মদিনের,দীর্ঘায়ু হও।
তা ও বলার কেউ নেই পৃথিবীতে।

প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলাম,প্রতি পদে পদে জন্ম পরিচয়,
আচ্ছা জন্ম পরিচয়টাই কি সব?
দোষতো আমার নয়,দোষতো তাদের যারা সামান্য-
কামনার মোহে,হয়তো মাত্র দুই মিনিটের সুখে আমাকে
এনেছিলো পৃথিবীতে,ছেড়ে দিয়েছে অজানা যুদ্ধের মঞ্চে।
কে আমার মা? কি উপমা দিবো আমি তাকে,নির্দয়া?
নাকি ধর্ষিতার বিচ আমি,লজ্জায়,সমাজের ধিক্কারের-
ভয়ে লুকিয়েছে পাপকে নর্দমার ড্রেনে ফেলে?

কে আমার বাবা? সে কি সত্যিই ভালবেসেছিলো –
যাকে আমি কল্পনায় মা ভাবছি?
নাকি একরাশ ছলনায় ভুলিয়ে,শয্যা সঙ্গীকে পাপের-
বোঝা ঝুলিয়ে দিয়েছে?
পরে নিরুদ্দেশ হয়েছে ভদ্র,সাধু বেশে ঘুরছে সমাজের
অতি সন্মানিয় ব্যক্তি হিসাবে।

ভাবনারা যে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন করে,কি কষ্ট,কি ব্যাথা
বুকে,লাঞ্চনা-গঞ্জনার পথটা কি যে যন্ত্রণার এর উত্তর
এই পৃথিবীর কাছে, পৃথিবীর মানুষের কাছে হয়তো নেই!!
সবার বাঁকা চোখের চাহনী,প্রেমিকাকে হারানোর ব্যাথা-
সবই যেন আমার পাওয়া,ভাগ্য যে আমাকে দিতে আসেনি,শুধু নিতেই জানে।
তাই আর পাওয়ার জন্য ভাবী না,নিজের বানানো জন্মদিনটা,জন্ম স্থানটা সেই নর্দমায় যাই মাঝে মাঝে-
আর আর্ত-চিৎকারে পৃথিবীকে জানান দেই!!
কান্নার শব্দটা যদি পৌছায় তাদের কানে,হয়তো নর্দমার
আশে-পাশেই আছে আমার নির্দয় মা,লপ্পট বাবা!!
যদি পৌছাতো তবে বুঝতো,সামান্য কামনার ফল-
কিভাবে ভোগ করছি,তাদের জানার খুবই দরকার
তাহলে বুঝতো, কি যন্ত্রনার অনাথের আত্ম-চিৎকার!!!

 

রহিমা আক্তার রীমা’র কবিতা || অনাথের আত্ম-চিৎকার

আপ : ১২:১০:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

শুনেছি ওই নর্দমায়,ড্রেনের ধারে কোন হৃদয়বানের কুড়িয়ে পাওয়া পরিচয়হীন শিশু আমি।
আমার জন্ম তারিখতো দূরে থাক,কে পিতা,কে মাতা-
জানা নেই, হয়তো কোনদিন জানাও হবে না?

বড়ই স্বাদ জাগে মনে,আমি কারো প্রেমিক হতে চাই,
পারি না, কারণ আমার যে জন্ম পরিচয় নেই!!
ইচ্ছে করে কারও সন্তান হই,মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে-
জন্মদিনে বলবে শুভ কামনা জন্মদিনের,দীর্ঘায়ু হও।
তা ও বলার কেউ নেই পৃথিবীতে।

প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলাম,প্রতি পদে পদে জন্ম পরিচয়,
আচ্ছা জন্ম পরিচয়টাই কি সব?
দোষতো আমার নয়,দোষতো তাদের যারা সামান্য-
কামনার মোহে,হয়তো মাত্র দুই মিনিটের সুখে আমাকে
এনেছিলো পৃথিবীতে,ছেড়ে দিয়েছে অজানা যুদ্ধের মঞ্চে।
কে আমার মা? কি উপমা দিবো আমি তাকে,নির্দয়া?
নাকি ধর্ষিতার বিচ আমি,লজ্জায়,সমাজের ধিক্কারের-
ভয়ে লুকিয়েছে পাপকে নর্দমার ড্রেনে ফেলে?

কে আমার বাবা? সে কি সত্যিই ভালবেসেছিলো –
যাকে আমি কল্পনায় মা ভাবছি?
নাকি একরাশ ছলনায় ভুলিয়ে,শয্যা সঙ্গীকে পাপের-
বোঝা ঝুলিয়ে দিয়েছে?
পরে নিরুদ্দেশ হয়েছে ভদ্র,সাধু বেশে ঘুরছে সমাজের
অতি সন্মানিয় ব্যক্তি হিসাবে।

ভাবনারা যে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন করে,কি কষ্ট,কি ব্যাথা
বুকে,লাঞ্চনা-গঞ্জনার পথটা কি যে যন্ত্রণার এর উত্তর
এই পৃথিবীর কাছে, পৃথিবীর মানুষের কাছে হয়তো নেই!!
সবার বাঁকা চোখের চাহনী,প্রেমিকাকে হারানোর ব্যাথা-
সবই যেন আমার পাওয়া,ভাগ্য যে আমাকে দিতে আসেনি,শুধু নিতেই জানে।
তাই আর পাওয়ার জন্য ভাবী না,নিজের বানানো জন্মদিনটা,জন্ম স্থানটা সেই নর্দমায় যাই মাঝে মাঝে-
আর আর্ত-চিৎকারে পৃথিবীকে জানান দেই!!
কান্নার শব্দটা যদি পৌছায় তাদের কানে,হয়তো নর্দমার
আশে-পাশেই আছে আমার নির্দয় মা,লপ্পট বাবা!!
যদি পৌছাতো তবে বুঝতো,সামান্য কামনার ফল-
কিভাবে ভোগ করছি,তাদের জানার খুবই দরকার
তাহলে বুঝতো, কি যন্ত্রনার অনাথের আত্ম-চিৎকার!!!