বন্ধ করো চোখের জল মুছে ফেল আঁখি।
মিয়া ভাইয়ের স্মৃতির কথা কেমনে ভুলে থাকি!
ভোর না হতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল পাখিদের কান্নায়,
দুষ্ট কাক খবর দিল ডাকিয়া বারান্দায়।
-শোন হে গ্রাম বাসি, শোন প্রানের ভাই,
কালো মেঘে আকাশ ঢেকেছে মুজিব যে বেঁচে নাই।
চোখের জল চলল ছুটে নদীর স্রোতের মত,
পাষান বুকে জন্মনিল জীবন্ত এক ক্ষত।
কি হইছিল? কি ঘটেছে, আছে কারো জানা?
এমন সংবাদ শোনার পরেও কাঁদতে কেন মানা?
কেনবা ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে থাকতে বলো চুপ,
চোঁখের জলে সাঁতার কেটে কেমনে দিব ডুপ
আসলো শেষে বীরের বেশে আমাদের সেই খোকা,
এক নিমিশে গায়ের মানুষ হয়ে গেল বোকা।
নিথর দেহ বাক্স বন্দী, যাওয়া যায় না কাছে,
হায়নার দল সারিসারি সব দাঁড়িয়ে আছে পাশে।
কোথায় খোকা সেই হাসি মুখ, দেখিতে মনে চায়,
লাশ হয়ে সে আসল ফিরে টুঙ্গিপাড়ার গায়!
চারোদিকে কারফু ছিল কেমন দিব খবর।
ঐ যে দেখ টুঙ্গিপাড়ায় মিয়া ভাইয়ের কবর।
বিশ্ববাসী দেখল চেয়ে বাঙ্গালীদের কাম।
জীবন দিয়ে দিতে হল স্বাধীনতার দাম।
হায়রে মানুষ! মানুষ হয়েও হাটছো যে কোন তালে,
মিয়া ভাইকে ফেলেছিলে কোন ষড়যন্ত্রের জালে?
কান্নাকাটি বন্ধ করে দোয়া দুরূদ পড়ো।
দু’হাত তুলে আল্লার কাছে এই মোনাজাত কর।
‘হে আল্লাহ অন্তজামি তুমি দয়াময়,
পরকালে যেন তাঁহার বেহেস্ত নসীব হয়।’