নীল,লাল ,সাদা সবুজ হরেক রঙের শাড়ির মেলা
দেখতে চেয়েছিল সেই মেয়েটি।
মিলিয়ে ছিল,নীলের সাথে আকাশের রঙ।
সবুজের সাথে গাছের পাতার মিতালী।
সাদার সাথে প্যাজা তুলোর বাহার,
লালের সাথে রক্তের আতিথেয়তা।
চেয়েছিল চোখ মেলে দেখবে।
শুনে শুনে মনে রেখেছিল
রঙের সাথে রঙের সখ্যতা।
হরেক সুতোর নিপুণ বুননের আভিজাত্য
আলতো করে ধরেছিল,মেলা তলায়
পরিপাটি সব শাড়ির পসরা।
ছুঁয়ে অনুভব করেছিল,নতুনের গন্ধ।
দোকানীর হাঁকে বুঝেছিল
এতো এতো !!হরেক রঙের,ভিন্ন শাড়ি?
নেবে গো দিদি,দেখো না কতো সুন্দর সব!
কাঞ্চীভরম, বেনারসি, কটকী তাঁত
হ্যান্ডলুম,ঢাকাই জামদানি, সিল্কের
রকমারী কারুকাজ, দেখো গো দিদি
শ্রবণ যন্ত্র বিকল,শোনার মেশিন কানে।
গায়ের রঙ দুধের মতো, অপরূপা সে
জন্মঅন্ধ হলেও, ভারী ইচ্ছে তার।
চোখ মেলে এই প্রকৃতি, আর তার সৃষ্টি দেখবে
পরনে দেওয়া গায়ের শাড়ির রঙ দেখবে–
জানবে কোনটা কি রঙের!!
সারাজীবন শুনতে শুনতে আজ সে দেখতে চাই
তার প্রিয় শাড়ির রঙ।
গায়ে লেপটে থাকা ,সেই শাড়ির অনুভব।