মহা সুখে কাটছিল দিন খুশির হাসি হেসে
মা বাপ তারে করলো মানুষ অপার ভালোবেসে।
যা রাবেয়া মাদ্রাসাতে করতে পড়াশোনা
আব্বাজান বললো তোর হবে জ্ঞানের সূচনা।
আম্মিজান বললো তারে খুব বেশি দিন নয়
গরিব ঘরের মেয়ের এতো জ্ঞানে কিবা হয়??
বয়স হলেই দিব শাদি রাখিস বেটি মনে
দেরি হলে নিন্দা মন্দ করবে অন্য জনে।
রাবেয়া তাই চুপ করে রয় শুনবে কার কথা
যাকে বিমুখ করবে সেই পাবে মনে ব্যথা!!
অতঃপর জ্ঞানের বোঝা পূরণ করার আগে
পড়শীরা সব তুললো রব শাদি দাও এই মাঘে।
বয়স যে বাড়লো মেয়ের হুঁশ কি নেই কারো??
যেন ওর আব্বা আম্মি রাখে না ঘরে আরও।
শাদির দিনে সোয়ামী তারে নিল কবুল করে
এমন পুরুষ দেখে রাবেয়ার মন খুশিতে ভরে।
কাটছিল বেশ ভালোই দিন পীর সোয়ামির সনে
অতি ভালো মানুষ সে নামাজ পড়তো প্রতিক্ষণে।
জানতো অনেক কোরাণ বাণী, অনেক ধর্মকথা
শুনতো রাবেয়া সেসব কিছু মুখে নিয়ে নীরবতা।
একদিন এক ভোরবেলাতে নাদিম মিঁয়া বললো ডেকে
যাও রাবেয়া গৃহকর্মে’ কাটিও না দিন আর বসে থেকে।
রাবেয়া তাই চললো কাজে সকল জ্ঞান ছেড়ে
রাত দিন তার এক হয়ে যায় গৃহ কর্ম ঘিরে!!
তারপর এক মধ্যরাতে নাদিম তারে কয়
বেশি দিন এক নারীতে আটকে থাকা শোভনীয় নয়।
দেবো তোরে তালাক এবার আনবো নতুন বিবি
বল রাবেয়া ছেড়ে যেতে তুই কি কিছু নিবি??
নিঃশব্দে কাঁদে শুধু অসহায় এক মেয়ে
ভালো যদি নাইবা বাসো কি হবে কিছু নিয়ে??
সোয়ামি তারে ধমকে বলে কাঁদিস না তুই আর
চোখের জলে পিছল হবে আমার নতুন সংসার।
রাবেয়া তাই চুপটি করে ভাবতে থাকে দিকবিদিক
কি করবে সে কোথায় যাবে এ কেমন তকলিফ্??