ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাজমা বেগম নাজু’র কবিতা || ফিলিস্তিন

  • আপ : ০১:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫১ ভিউ :

 

রক্ত নহরে ঢেকে গেছে ঘাস,ধুলোর শরীর
বোমারু বিমান সূর্য ঢাকবে এটাই বিধান
যেন এই দেশে, রাত আর দিন মিলে মিশে এক
ধোয়া ঢাকা ঘন অতল অন্ধকার।
ধ্বংসের মহাদেশ –
ধ্বংস অতলে খুঁজে পাবে শিশু
অনড় প্রশ্বাসবিহীন,
মাটিতে মিশেছে প্রিয় মাঠ আর স্কুলের মরদেহ
ধ্বংসস্তুপ- প্রিয় মানুষের
প্রিয় বন্ধু, বাবা ও মায়ের। নিরীহ মানুষ অবুঝ শিশু – হয়ে আছে লাশ, লাশের মিছিল
ওরা যুদ্ধ বোঝেনা, মারণাস্ত্র তবুও ওদের খুঁজে
হন্যে হয়ে খুঁজে ফেরে তবু বেয়নেট রাইফেল
মানুষ খেকো জঙ্গী বিমান – কোথায় লুকায়
মানুষের সারি-, কোন লোকালয়ে জ্বলছে আলো,
মানবাধিকার? স্বেত ভলুকের দুই পদতলে।
ক্ষুধা ভয় আর অনিশ্চয়তা
ঘিরে থাকা এই মানবকূলের ব্যথার সঙ্গী –
বন্ধু জগতে নাই।
ধ্বংসের মাঝেই জন্ম ওদের
ধ্বংসযজ্ঞ ভরা আগামীর পথ।
স্বজন হারানো প্রতি পরিবার
যন্ত্রণা দগ্ধ মানব শিশু বুকে ধরে রাখা
হাসপাতালও গুড়ো হয়ে গেছে।
ধ্বংসের মাঝে চাপা পড়ে আছে অনাথ শিশুর
নিখোঁজ বাবার, বিধবা মায়ের লাশ।
খন্ডিত কংক্রিট, খন্ডিত দেহ
মানব নামের সেরা জীবনের–, যায়না ভিন্ন করা।
অনেক দীর্ঘশ্বাস, না বলা গল্প, নিহত অশ্রুধারা,
জমে থাকা ইতিহাস — ধ্বংসস্তুপের রক্ত নহরে
নিভৃত স্রোতধারা। বাতাসের হাহাকারে
মিশে আছে আর্তনাদ, কান্না মানব শিশুর
নিপীড়নের – হত্যাযজ্ঞের।
কোথায় স্বাধীনতা? মানবাধিকার কোন আকাশের সীমায়?
হতবাক তরুশীর, সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদে
বাকরুদ্ধ শত পাখি ডাকা ভোরের কলতান।
————-
আর সয়ে যাওয়া, মুখ বুজে থাকা নয়
মানচিত্রের প্রতি ধুলো মাটি প্রতিটি মানুষ শোনো
সবাই মিলে একসাথে হই
একাত্ম ফিলিস্তিন, হই গাজা,
ঝলসানো বারুদ, বজ্রের হুংকার
গর্জে ওঠি বিশ্ব কাঁপানো প্রমত্ত হুংকারে।

নাজমা বেগম নাজু’র কবিতা || ফিলিস্তিন

আপ : ০১:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

 

রক্ত নহরে ঢেকে গেছে ঘাস,ধুলোর শরীর
বোমারু বিমান সূর্য ঢাকবে এটাই বিধান
যেন এই দেশে, রাত আর দিন মিলে মিশে এক
ধোয়া ঢাকা ঘন অতল অন্ধকার।
ধ্বংসের মহাদেশ –
ধ্বংস অতলে খুঁজে পাবে শিশু
অনড় প্রশ্বাসবিহীন,
মাটিতে মিশেছে প্রিয় মাঠ আর স্কুলের মরদেহ
ধ্বংসস্তুপ- প্রিয় মানুষের
প্রিয় বন্ধু, বাবা ও মায়ের। নিরীহ মানুষ অবুঝ শিশু – হয়ে আছে লাশ, লাশের মিছিল
ওরা যুদ্ধ বোঝেনা, মারণাস্ত্র তবুও ওদের খুঁজে
হন্যে হয়ে খুঁজে ফেরে তবু বেয়নেট রাইফেল
মানুষ খেকো জঙ্গী বিমান – কোথায় লুকায়
মানুষের সারি-, কোন লোকালয়ে জ্বলছে আলো,
মানবাধিকার? স্বেত ভলুকের দুই পদতলে।
ক্ষুধা ভয় আর অনিশ্চয়তা
ঘিরে থাকা এই মানবকূলের ব্যথার সঙ্গী –
বন্ধু জগতে নাই।
ধ্বংসের মাঝেই জন্ম ওদের
ধ্বংসযজ্ঞ ভরা আগামীর পথ।
স্বজন হারানো প্রতি পরিবার
যন্ত্রণা দগ্ধ মানব শিশু বুকে ধরে রাখা
হাসপাতালও গুড়ো হয়ে গেছে।
ধ্বংসের মাঝে চাপা পড়ে আছে অনাথ শিশুর
নিখোঁজ বাবার, বিধবা মায়ের লাশ।
খন্ডিত কংক্রিট, খন্ডিত দেহ
মানব নামের সেরা জীবনের–, যায়না ভিন্ন করা।
অনেক দীর্ঘশ্বাস, না বলা গল্প, নিহত অশ্রুধারা,
জমে থাকা ইতিহাস — ধ্বংসস্তুপের রক্ত নহরে
নিভৃত স্রোতধারা। বাতাসের হাহাকারে
মিশে আছে আর্তনাদ, কান্না মানব শিশুর
নিপীড়নের – হত্যাযজ্ঞের।
কোথায় স্বাধীনতা? মানবাধিকার কোন আকাশের সীমায়?
হতবাক তরুশীর, সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদে
বাকরুদ্ধ শত পাখি ডাকা ভোরের কলতান।
————-
আর সয়ে যাওয়া, মুখ বুজে থাকা নয়
মানচিত্রের প্রতি ধুলো মাটি প্রতিটি মানুষ শোনো
সবাই মিলে একসাথে হই
একাত্ম ফিলিস্তিন, হই গাজা,
ঝলসানো বারুদ, বজ্রের হুংকার
গর্জে ওঠি বিশ্ব কাঁপানো প্রমত্ত হুংকারে।