ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আহমেদ সজীব এর কবিতা || ভালবাসায় বানভাসি

  • আপ : ০২:০৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৮৫ ভিউ :

 

বন্যা এদেশে বারবার আসে,
এবার এসেছে তবে দানবীয় বেশে!
উত্তর -পূর্বাঞ্চলের অর্ধকোটি মানুষ আজ
দু:স্বপ্নের চারণভূমে বানভাসি নির্মম রূপে,
অনাহারে-অনিদ্রার তারা হাতড়ে বেড়ায়,
একটু আশ্রয়ের আশায়।
বানভাসি আজ ওরা পাহাড়ি ঢলে,
নি:স্ব যেন সবে বন্যার কবলে পড়ে,
সড়ক পথে সাতরিয়ে বেড়ায় ওরা ডুবন্ত জনপদে,
ঘরের চালে কিংবা গাছের ডালে,
কেউ পেয়েছে ঠাই,
কেউবা পড়েছে আছড়ে নদীর কিনারায়।
পশুপাখিসব সাক্ষাৎ পায় সলিলময়
সমাধি সারি সারি,
এ বাংলায় আছে যত চাষী
কালের অতলে হারিয়েছে তব হাসি,
ওরা সবাই একাকার আজ,
ওরা ভাটিতে খোঁজে মাটি ।
দেশের মানুষ দশের তরে আপন হয়ে
বাড়িয়েছে হাত প্রাণ ভরে,
করেছে সহায়তা উদ্ধার আর ত্রাণ বিতরণে,
সেচ্ছাসেবী সব বেসরকারি মানুষ,
সাহায্য নিয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গতি নিরসনে।
বৈষম্যবিরোধী তাজা প্রাণ যত,
কাধে কাধ মিলিয়ে ওরা করেছে শপথ,
শুকিয়েছে যত বানভাসির ক্ষত।
কোমলমতি শিশুর সিকি-আধুলির কৌটা আর
দিন মজুরের ঘামঝরা দু’টাকার কটি নোট,
দিয়েছে শিক্ষা তাদের
পরে যারা মুখোশধারী কোট।
ছুটে আসা মানুষের ছোট ছোট সাহায্যে
ফোটে শ্বাশত হাসি দুর্গত মানুষের মুখে,
খাবার ও বস্ত্র, ওষুধ ও পানীয়
সেচ্ছায় সবে করে অনুদান এসে সম্মুখে।
শিক্ষার্থীসব দেশজুড়ে দিয়েছে শ্রম দিবানিশি ,
রাস্তার মোড়ে দানবক্স হাতে নিরন্তর দাড়িয়ে,
সাহায্য চায় আবেগের স্বরে বানভাসিদের তরে,
গণপরিবহনে এমনকি গাড়ি পার্কিংয়ে,
দিয়েছে ত্রাণের জন্য হাত বাড়িয়ে।
দেখেছে বিশ্ব হয়েছে ওরা নি:স্ব,
সেচ্ছাসেবার এমন অভূতপূর্ব চিত্রে তবে,
অভিভূত হয়েছে জগৎজুড়ে সবে।
স্বেচ্ছাশ্রমের সংস্কৃতি সবাইকে করেছে মহামতি,
সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আজিকার এ ত্যাগ,
করেছে প্রমাণ; সেবকই মহান,
‘ সেবাই ধর্ম ‘ আর
‘ মানুষ মানুষের জন্য’
নেই কিছু অন্য।।।

আহমেদ সজীব এর কবিতা || ভালবাসায় বানভাসি

আপ : ০২:০৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

বন্যা এদেশে বারবার আসে,
এবার এসেছে তবে দানবীয় বেশে!
উত্তর -পূর্বাঞ্চলের অর্ধকোটি মানুষ আজ
দু:স্বপ্নের চারণভূমে বানভাসি নির্মম রূপে,
অনাহারে-অনিদ্রার তারা হাতড়ে বেড়ায়,
একটু আশ্রয়ের আশায়।
বানভাসি আজ ওরা পাহাড়ি ঢলে,
নি:স্ব যেন সবে বন্যার কবলে পড়ে,
সড়ক পথে সাতরিয়ে বেড়ায় ওরা ডুবন্ত জনপদে,
ঘরের চালে কিংবা গাছের ডালে,
কেউ পেয়েছে ঠাই,
কেউবা পড়েছে আছড়ে নদীর কিনারায়।
পশুপাখিসব সাক্ষাৎ পায় সলিলময়
সমাধি সারি সারি,
এ বাংলায় আছে যত চাষী
কালের অতলে হারিয়েছে তব হাসি,
ওরা সবাই একাকার আজ,
ওরা ভাটিতে খোঁজে মাটি ।
দেশের মানুষ দশের তরে আপন হয়ে
বাড়িয়েছে হাত প্রাণ ভরে,
করেছে সহায়তা উদ্ধার আর ত্রাণ বিতরণে,
সেচ্ছাসেবী সব বেসরকারি মানুষ,
সাহায্য নিয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গতি নিরসনে।
বৈষম্যবিরোধী তাজা প্রাণ যত,
কাধে কাধ মিলিয়ে ওরা করেছে শপথ,
শুকিয়েছে যত বানভাসির ক্ষত।
কোমলমতি শিশুর সিকি-আধুলির কৌটা আর
দিন মজুরের ঘামঝরা দু’টাকার কটি নোট,
দিয়েছে শিক্ষা তাদের
পরে যারা মুখোশধারী কোট।
ছুটে আসা মানুষের ছোট ছোট সাহায্যে
ফোটে শ্বাশত হাসি দুর্গত মানুষের মুখে,
খাবার ও বস্ত্র, ওষুধ ও পানীয়
সেচ্ছায় সবে করে অনুদান এসে সম্মুখে।
শিক্ষার্থীসব দেশজুড়ে দিয়েছে শ্রম দিবানিশি ,
রাস্তার মোড়ে দানবক্স হাতে নিরন্তর দাড়িয়ে,
সাহায্য চায় আবেগের স্বরে বানভাসিদের তরে,
গণপরিবহনে এমনকি গাড়ি পার্কিংয়ে,
দিয়েছে ত্রাণের জন্য হাত বাড়িয়ে।
দেখেছে বিশ্ব হয়েছে ওরা নি:স্ব,
সেচ্ছাসেবার এমন অভূতপূর্ব চিত্রে তবে,
অভিভূত হয়েছে জগৎজুড়ে সবে।
স্বেচ্ছাশ্রমের সংস্কৃতি সবাইকে করেছে মহামতি,
সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আজিকার এ ত্যাগ,
করেছে প্রমাণ; সেবকই মহান,
‘ সেবাই ধর্ম ‘ আর
‘ মানুষ মানুষের জন্য’
নেই কিছু অন্য।।।