শিশু যখন-
প্রাইমারি পেরিয়ে মাধ্যমিকের ঘরে
মাধ্যমিক শেষে আরেকটি স্বপ্ন দেখে
জেন্ডার বৈষম্যের তখনো আওতাধীন নই বলে
সে বয়সে স্বপ্ন দেখেছিলাম আমিও
কিশোর যখন-
মাধ্যমিক পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের অংক কষে
আমি তখন কিশোরী স্বপ্ন দেখা বারণ
জেন্ডার বৈষম্যের প্রথম ধাপে পা রাখি
যুবক যখন-
কলেজ ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার
সেসব নিয়ে স্বপ্নের ধাপে ধাপে আগায়
আমি তখন যৌবন পেরিয়ে
পাড়ার চাচীদের মুখরোচক সমালোচনা পাত্রী
স্বপ্ন কেবল বংশের প্রদীপ ছেলেদের অধিকার
এক একটা বৈষম্যের ধাপ অতিক্রম করি
কন্টক সিঁড়ি ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে
আমি যখন পূর্ণাঙ্গ নারীতে পরিণত হয়েছি
বুঝতে পারলাম- আমি মানুষ
পরিপূর্ণ একজন মানুষ
মানুষের স্বপ্ন দেখায় বৈষম্য তো নেই
স্বপ্ন দেখি আমি সেবক হবো
কারণ সেবক হতে –
কোন পদবির দরকার পড়ে না।